খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ১০
  চট্টগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চোর সন্দেহে যুবককে গণপিটুনি, প্রতিবাদ করায় দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা

গেজেট ডেস্ক

নরসিংদীর পলাশ উপজেলা ঘোড়াশাল এলাকায় গণপিটুনি দিয়ে সহোদর দুই ভাইক হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাতে ঘোড়াশালের ভাগদী গ্রামের কুড়ইতলী এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ঘোড়াশালের করতেতৈল গ্রামের আশ্রাফ উদ্দিনের ছেলে রাকিব (২৫) এবং সাকিব (২০)। এসময় আহত হয়েছেন নিহতদের পিতা আশ্রাফ উদ্দিন ও তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার ভোরে ভাগদীর কুড়ইতলী এলাকায় দুই যুবক অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি করতে যায়। এসময় টের পেয়ে এলাকার লোকজন হিমেল নামের এক যুবককে ধরে ফেলে। অন্যজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটকের পর হিমেলকে গণ পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় জনতা। পুলিশ হিমেলকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এই ঘটনার বিষয়ে জানতে বিকেলে ঘটনাস্থলে যায় রাকিব, সাকিবসহ অন্যান্যরা। এসময় তারা ভাগদী এলাকার এক অটোরিকশা চালককে মারধর করে। পরে সন্ধ্যায় আবার ৩০ থেকে ৩৫ জন যুবক জড়ো হয়ে ভাগদীর কুড়ইতলী এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষ লিপ্ত হয়। এসময় রাকিব ও সাকিবকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে সাকিবের মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যায় বড় ভাই রাকিব।

নিহতের স্বজন হাজেরা বেগম বলেন, এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা চেয়ে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় আজকে ঈদের দিন ঘুরতে গেলে সন্ত্রাসীরা সাকিব ও রাকিবকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কতর্ব্যরত চিকিৎসক ডা. সুদীপ কুমার সাহা বলেন, সাকিব ও রাকিব নামে দুই ভাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। এরমধ্যে সাকিবকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। আর রাকিবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। তাদের মাথায় ও শরীর গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, চোর সন্দেহে একজনকে পিটুনী দেয় স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশের তত্বাবধানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে এরই প্রতিবাদ করতে গিয়ে পূনরায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একজন সদর হাসপাতালে এবং অপরজন ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায়। আমরা চাঁদাবাজির কোন তথ্য পাইনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে কিনা।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!